করোটিতে রোদ্দুর



এসো, আলোর ঝরনাধারায় এসো,
এলো চুলে ধরতেই গান,
অশরীরী হাওয়া এসে একমুঠো রোদ্দুর দিল ছুঁড়ে।

দিশেহারা আমি নেমে পড়ি রাস্তায়।
রাস্তায় রোদ্দুর আমার সর্বাঙ্গে ঝরে পড়ে।
চুঁইয়ে, চুঁইয়ে আলো গড়ায়
আমার চুলে চোখে মুখে।
আমি রৌদ্রের ঝরনাধারায় দুহাত উপরে তুলে
উদার বৃক্ষের ভঙ্গিতে দাঁড়াই।

‘‘দাও রোদ্দুর আলো দাও
আলো দাও আমার কবিতায়
দাও আমার গান ভরিয়ে দাও।
অর্ন্তহিত করো ছায়া
ভাসিয়ে দাও, ডুবিয়ে দাও দেশ
অমর করো আমায়।’’

আলোর আর্শীবাদে আমি
দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে উঠি।
অবশেষে আলোর জন্মদাত্রী সূর্যের
পদস্পর্শ করে আমি দেবতায় উর্ত্তীণ হলাম ॥

এসো আলোর ঝরনাধারায় এসো,
এসো আলোয় ভিজে ধর গান।
দুহাত বাড়িয়ে দাও সূর্যের দিকে,
এমন আঁধার যুগে,
সূর্যের আর্শিবাদেই পাবে
অন্য নতুন দিন।

আড়ালে জীবন



মেঘের আড়ালে চলে গেলে চাঁদ
জীবনের এই বিফলতাগুলো
বুকের বেদনা টুকরো দু:খ
সব লাগে বিস্বাদ।

বইয়ের কালো মলাটের মতো
রাতের আকাশে, প্রম্পটারের
মতো করে চাঁদ আড়ালেই থেকে
পড়ে চলে জীবন।

হাহাকার শুনে সত্যি অর্থহীন
মনে হয় সব। সিদ্ধার্থের
মতো যদি চলে যাওয়া যেত
কোথায় - অনিকেত।

তবু আদি সত্য এই যে-
অর্থহীন হয়ে পড়ে সব-
সিদ্ধার্থের মত গৃহত্যাগী,
রবিগুরুর মত নিশছিদ্র সংসারী
কিংবা অ্যালেনের মতো বোহেমিয়ান হওয়া;
যখন পুরোনো দু:খের তোড়ে ভেসে যায়
কবিতার লাইন, ছত্র, দাঁড়ি, কমা, সেমিকোলন
ভেসে যায় ছন্দ, পয়ার কিংবা মুক্তক।

তখন থাকে শুধু
প্রিয় লেখকের খটখটে অজল গদ্য
যার পদবিহীন দেহ আজ
মাটির শরীরে বৃষ্টির ঘ্রান শোঁকে


১৮ ই অগাস্ট ১৯৯৭
পরবর্তীতে একটা গান করা হয়েছিল এটাকে নিয়ে।

করোটিতে আরো রোদ্দুর



হঠাৎ আঘাত করে
করোটিতে রোদ্দুর।

সূর্যাহত আমার
করোটি চুঁইয়ে ঢোকে রুপালী আলো।

অতি জাগতিক নিয়মে
আমি হয়ে উঠি কবি।
আমার কবিতা
ফেলে চিন্তায় সমালোচক তাদের ...

কেন যে খুঁজতে যান
কবিতার ভুল!
কবিতার শরীর সেতো ঈশ্বরিক নির্মান।

মগজে নড়ে ওঠে তরল রোদ্দুর।

১৭ ই অক্টোবর ২০০৩
সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫

এই মেঘ

এই মেঘ কেটে গেলে থেমে যাবে বৃষ্টি।

আমাদের ছায়া ঢাকা এই প্রিয় শহরে
কেন যেন হানা দেয় বিষন্ন বিকেল,
কোথায় সিক্ত হয় রমরমা আড্ডা
নীরবে হারিয়ে যায় সোনালী সময়।

তবু জানি একদিন থেমে যাবে বৃষ্টি
দেখবে নতুন আলো বলে যায় হাওয়া,
মজুর ভরসা পাবে দুমুঠো ভাতের;
এরই তরে আমি লড়ে যাই প্রানপণ।

নীচে চেয়ে দেখি আছি পুঁজিবাদী শেকড়ে
নিজেরে ঘৃনায় তাই মূলে কুঠারাঘাত;
আহত ব্যথিত আমি পুষে রাখি স্বপ্ন
এই জাতি সাম্যবাদী জাগরনে মগ্ন।

এই মেঘ কেটে গেলে থেমে যাবে বৃষ্টি,
রোদের সমুখে হবে নাশ অনাসৃষ্টি।

৩০ শে আগষ্ট ১৯৯৭
রাত ১২ টা ১০

এখানে প্রকাশের সময় কয়েকটি শব্দের অদল বদল।
১৪ ই মার্চ ২০০৬

আমার সর্ম্পকে

  • আমি
  • থাকি
আমার সর্ম্পকে আরো

সংগ্রহশালা